Tuesday, October 3, 2023

অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে? চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতার সূত্র কি 2024

 

 স্থিতিস্থাপকতা কি? 

স্থিতিস্থাপকতা: স্থিতিস্থাপকতা কি জানো তোমরা? অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা হলো একটি পরিমাপ। কীসের পরিমাপ? এটি চাহিদা (Demand) অথবা যোগানের (Supply) প্রতিক্রিয়া (Reaction) পরিমাপ করে যখন চাহিদা অথবা যোগানের কোনো একটা নির্ধারকের পরিবর্তন হয়। এখন প্রশ্ন করতে পারো যে চাহিদা অথবা যোগানের নির্ধারক কোনগুলো? 

স্থিতিস্থাপকতার কি



আগে বলি নির্ধারক কী: ধরো তুমি মাসে এক হাজার টাকা ইনকাম করো। তুমি মাসে ৪ প্লেট ফুসকা খাও। তাহলে মাসে তোমার ফুসকার চাহিদা ৪ প্লেট রাইট? আচ্ছা এখন তোমার ইনকাম বেড়ে গিয়ে হলো পাঁচ হাজার টাকা। অবশ্যই এখন তুমি আরো বেশী করে ফুসকা খাবে মাসে তাই না? মাসে ধরো এখন ৭ প্লেট ফুসকা খাও। তোমার চাহিদা বেড়ে হলো ৭ প্লেট। এখানে তোমার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে তোমার ইনকাম বাড়ার কারণে। এখানে ইনকাম চাহিদার একটি নির্ধারক (Determinant)। বুঝতে পেরেছো তো নির্ধারক কাকে বলে? 

চাহিদার নির্ধারক: 

১. ইনকাম: ইনকাম বাড়লে চাহিদা বাড়ে। ইনকাম কমলে চাহিদা কমে।
২. আবহাওয়া: গরমকালে আমাদের ঠান্ডা পানিয়ের অনেক চাহিদা থাকে কিন্তু শীতকালে সেই চাহিদা কমে যায়। 
বাকী উদাহরণগুলো বই থেকে পড়ে নিও তোমরা।

যোগানের নির্ধারক: 

১. প্রযুক্তিগত উন্নয়ন: প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলে কোনো একটি কোম্পানী একই খরচে আগের চেয়ে বেশী উৎপাদন করে। ফলে যোগান বেড়ে যায়। 
২. সরবরাহকারীর (Supplier) পরিমাণ: সাপ্লায়ারের সংখ্যা বেড়ে গেলে যোগান বেড়ে যায়। সাপ্লায়ারের সংখ্যা কমে গেলে যোগান কমে যায়। 

আমরা সবাই জানি যে দাম কমলে চাহিদা বাড়ে আর দাম কমলে চাহিদা কমে। আবার দাম কমলে যোগান কমে দাম বাড়লে যোগান বাড়ে। আমরা থিউরি অনুযায়ী এইটুকু জানি। কিন্তু এই যে বাড়া বা কমা এইটা কতটুকু পরিমাণে কমে বা বাড়ে সেটা পরিমাপ করতেই আমরা স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপ করি। 

দাম স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?

দাম স্থিতিস্থাপকতার সূত্র কী


দাম স্থিতিস্থাপকতা: একটি পণ্যের দাম বাড়া বা কমার ফলে সেই পণ্যটির চাহিদা কতটুকু পরিমাণে বাড়ে বা কমে তার পরিমাপকে দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে। আগের উদাহরণটাই ধরো। তুমি মাসে ৭ প্লেট ফুসকা খাও। ফুসকার দাম বেড়ে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হঠাৎ ৫০ টাকা হয়ে গেলো। তুমি এখন কী করবে? অবশ্যই আগের চেয়ে কম খাবে তাই না? হয়তো দেখা গেলো তুমি এখন ৭ প্লেটের যায়গায় ৩ প্লেট খাচ্ছো।  


পরিমাপ করার সূত্র: 

দাম স্থিতিস্থাপকতা = (চাহিদার পরিবর্তনের শতকরা হার) / (দামের পরিবর্তনের শতকরা হার)
শতকরা নির্ণয়ের পদ্ধতি নিশ্চয়ই জানা আছে তোমাদের। না জানলে গুগুল করে জেনে নাও। 
উদাহরণ: 
তুমি ফুসকার দাম বাড়ার ফলে মাসে ৭ প্লেট থেকে ৩ প্লেট খাচ্ছো। ফুসকার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
চাহিদার পরিবর্তন = ৪ 
দামের পরিবর্তন = ১০ 
তাহলে চাহিদার শতকরা পরিবর্তন = ৪ / ১০০ = ০.০৪
দামের শতকরা পরির্তন = ১০ / ১০০ = ০.১ 
দাম স্থিতিস্থাপকতা = (চাহিদার পরিবর্তনের শতকরা হার) / (দামের পরিবর্তনের শতকরা হার) = ০.০৪ / ০.১ = ০.৪
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছো। এইভাবে বইয়ে অন্যান্য স্থিতিস্থাপকতাগুলোও আশা করি বুঝতে এবং ক্যালকুলেট করতে পারবে।
আরো বিশদভাবে ব্যাখ্যা চাইলে কমেন্টে জানাও। এছাড়াও অন্যান্য কোন কোন বিষয়ে আর্টিকেল চাও জানাও। 

Labels: ,

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home